🕋 কোরবানির পশুর চামড়া: ইসলামী বিধান ও আমাদের করণীয় 🕋


🕋 কোরবানির পশুর চামড়া: ইসলামী বিধান ও আমাদের করণীয় 🕋

t

কোরবানি আমাদের জন্য শুধু একটি ইবাদত নয়, এটি একটি আত্মত্যাগ ও মানবিকতার মহাসংস্কৃতি। কোরবানির প্রতিটি অংশের যেমন গুরুত্ব আছে, তেমনি এর চামড়া নিয়েও ইসলামে রয়েছে কিছু সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা।

📜 হাদিসের আলোকে কোরবানির চামড়া

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—
“তোমরা কোরবানির পশুর চামড়া দ্বারা উপকৃত হও; তবে তা বিক্রি করে দিয়ো না।”
(সুনানে আবু দাউদ: ২৮১২)

হজরত আলী (রাঃ) বলেন,
“রাসুল (সা.) আমাকে তাঁর কোরবানির পশুর দেখাশোনার নির্দেশ দিয়েছেন। পশুর গোশত, চামড়া ও তার ওপরে থাকা চাদর সদকা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং কসাইকে পারিশ্রমিক হিসেবে এসব কিছু দিতে নিষেধ করেছেন।”
(সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৪০৭)

⚖️ ফিকহ ও ফাতাওয়ার ব্যাখ্যা

চামড়া বিক্রয় করে টাকা নিজের কাজে খরচ করা জায়েজ নয়।
📚 (ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ৫/৩০১)

চামড়া কসাইয়ের পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া যাবে না।
📚 (ফাতাওয়া কাজিখান: ৩/৩৫৪)

💝 কোরবানির চামড়ার ব্যবহার ও সদকা

🔹 দান করা উত্তম – গরিব, ইয়াতিম, অসহায় এবং দ্বীনের শিক্ষার্থী (তালিবে ইলম) – এদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিৎ।

🔹 ব্যক্তিগত ব্যবহার বৈধ – চাইলে প্রক্রিয়াজাত করে নিজের জন্য ব্যাগ, সিজদার চট বা অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে।

🔹 উপহার দেওয়া – পরিবারের সদস্য, প্রিয়জন বা প্রতিবেশীকে উপহার হিসেবে দেওয়া যায়।

🔹 সাদকাহ – সদকা হিসেবে দিলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।

🕌 যারা পেতে পারেন:

✅ দরিদ্র
✅ ইয়াতিম
✅ দ্বীনের দরিদ্র শিক্ষার্থী (তালিবে ইলম)
✅ যারা জাকাত ও ফিতরা পাওয়ার উপযুক্ত

📌 তবে মনে রাখতে হবে— কোরবানিদাতা নিজে চামড়ার মূল্য ভোগ করতে পারবেন না। শুধু বাস্তব ব্যবহার করা যাবে; বিক্রি করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করা জায়েয নয়।


🔖 এই ঈদে চলুন কোরবানির প্রকৃত শিক্ষা বাস্তবায়ন করি – আত্মত্যাগ, দয়া ও শুদ্ধ নিয়তের মাধ্যমে।

📲 আপনার মতামত বা প্রশ্ন কমেন্টে জানান।
🔁 পোস্টটি শেয়ার করে অন্যদেরও সচেতন করুন

Post a Comment

Previous Post Next Post