নিশ্চয়ই জাহান্নাম ওৎ পেতে রয়েছে
জাহান্নামও আরবি শব্দ। এর অর্থ গভীর গর্ত। ইসলামি পরিভাষায়, মহান আল্লাহ আখিরাতে অবিশ্বাসী ও পাপীদের শাস্তির জন্য যে অগ্নিময় আবাস তৈরি করে রেখেছেন, তাকে জাহান্নাম বলা হয়। এটাকে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে ‘নার’ বলা হয়েছে।

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের সুরা এটাকে ২১ নম্বর আয়াতে বলেন, নিশ্চয়ই জাহান্নাম ওৎ পেতে রয়েছে।
وَ مَنۡ خَفَّتۡ مَوَازِیۡنُهٗ فَاُولٰٓئِكَ الَّذِیۡنَ خَسِرُوۡۤا اَنۡفُسَهُمۡ فِیۡ جَهَنَّمَ خٰلِدُوۡنَ تَلۡفَحُ وُجُوۡهَهُمُ النَّارُ وَ هُمۡ فِیۡهَا كٰلِحُوۡنَ অর্থ: যাদের পাল্লা হালকা হবে তারা নিজেদের ক্ষতি করেছে। তারাই জাহান্নামে স্থায়ী হবে। আগুন তাদের মুখ দগ্ধ করবে আর তারা সেখানে বীভৎস চেহারায় থাকবে। (সুরা মুমিনুন ১০৩-১০৪)
অহংকারীদের অপদস্থ করে রক্ত-পুঁজ পান করানো হবে। জাহান্নামের বাওলাস নামের বন্দিশালায় নেয়া হবে। কঠিন আগুন তাদের গ্রাস করবে। জাহান্নামিদের দুর্গন্ধময় পুঁজ-রক্ত ইত্যাদি পান করানো হবে। (তিরমিজি, হাদিস: ২৪৯২)
জাহান্নামে কাফিরদের শারীরিক গঠন অস্বাভাবিক বড় হবে। জাহান্নামে কাফিরদের উভয় কাঁধের দূরত্ব দ্রুতগামী ঘোড়ার তিন দিনের পথের সমান হবে। অন্য বর্ণনা মতে, কাফিরের একটি দাঁত উহুদ পাহাড়ের সমান হবে আর তার দেহের চামড়া তিন দিনের দূরত্ব পরিমাণ পুরু হবে। (বুখারি ৬৫৫১)
চিৎকার করে কান্না করায় একসময় জাহান্নামিদের অশ্রু শেষ হয়ে যাবে। জাহান্নামিদের জন্য কান্না পাঠানো হবে। এরপর তারা কাঁদতে থাকবে। এক পর্যায়ে তাদের চোখের পানি শেষ হয়ে যাবে। চামড়া চোখ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকবে। ফলে তাদের মুখে বিশাল গর্ত সদৃশ তৈরি হবে। তাতে নৌযান পাঠানো হলে তা অনায়াসে চলতে পারবে। (ইবনে মাজাহ ৪৩২৪)
Post a Comment