মুমিনের সম্মান বেশি নাকি কাবাঘরের?
মহান আল্লাহ মানুষকে বানিয়েছেন সৃষ্টির সেরা। আর মানুষ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবাদতের জন্য। মানুষের সম্মান ও মর্যাদা বিশাল আকাশ, মহা সমুদ্র, দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়সহ ফেরেশতা ও কাবাঘরের চেয়েও বেশি।

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, আমি তো আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, স্থলে ও সমুদ্রে তাদের চলাচলের বাহন দিয়েছি; তাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ দান করেছি এবং যাদেরকে আমি সৃষ্টি করেছি, তাদের অনেকের উপর তাদেরকে যথেষ্ট শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। (সুরা বনি ইসরাইল: ৭০)
তারা বলে, আমরা যদি মদিনায় প্রত্যাবর্তন করি তবে সেখান থেকে সবলরা অবশ্যই দুর্বলকে বহিষ্কার করবে। শক্তি (সম্মান) তো আল্লাহ, তার রসুল ও মুমিনদেরই; কিন্তু মুনাফিকরা তা জানে না। (সুরা মুনাফিকুন-৮)
মুমিনের সম্মান কাবাঘরের চেয়েও বেশি
ওহে আল্লাহর ঘর, তুমি কতই পবিত্র এবং তোমার সুঘ্রাণ কতই না মনমাতানো! তুমি কতই না মর্যাদাবান, কত সম্মানের অধিকারী! নিশ্চয়ই সেই সত্তার শপথ, যার হাতে মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রাণ! একজন মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে তোমার চেয়েও অধিক মর্যাদাবান, তাদের সম্পদ ও রক্ত অধিক সম্মানিত। এ জন্য আমরা মুমিনদের ব্যাপারে সব সময় সুধারণা পোষণ করি। (ইবনে মাজাহ: ২/১৮৩০)
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ফেরেশতারা মহান আল্লাহর কাছে আবেদন করলেন যে, হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি মানবজাতিকে দুনিয়া দান করেছেন, তারা পানাহার করে, বস্ত্র পরিধান করে আর আমরা সদাসর্বদা আপনার প্রশংসা করি ও তাসবিহ পাঠ করি। আমরা পানাহার করি না, কৌতুকও করি না। তাই মানবজাতিকে যেভাবে দুনিয়া দান করেছেন, তেমনিভাবে আমাদের আখিরাত দান করুন। আল্লাহ তাদের উত্তরে বলেন, যাদের আমি কুদরতি হাতে সৃষ্টি করেছি তাদের সমতুল্য এমন কাউকে করব না, যাদের আমি ‘কুন’ (হও) শব্দ দ্বারা সৃষ্টি করেছি।’ (আল মুজামুল আওসাত: ৭/৯৯)
Post a Comment